১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় টাইটানিক নামের বিলাসবহুল প্রমোদতরি। ১৯৮৬ সালে সমুদ্রবিজ্ঞান–বিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান উডস হোল ওশেনোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের (ডব্লিউএইচওআই) গবেষক দল ধ্বংসাবশেষটির করা একটি বিরল ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচওআই।
আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় দুই মাইল (তিন কিলোমিটার) গভীরে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। এক টানা ধারণ করা ৮০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজটির বেশির ভাগ অংশই এত দিন অপ্রকাশিত ছিল। এ ভিডিওতে ডুবে যাওয়া জাহাজটির ভেতরের অবস্থা দেখা গেছে।
জাহাজের ডেক ও বিভিন্ন সরঞ্জাম দেখা গেছে। আশপাশে সামুদ্রিক প্রাণীদের সাঁতার কেটে বেড়ানোর দৃশ্যও উঠে এসেছে ফুটেজে। টাইটানিক ডুবে যাওয়ার পর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেতে নানা প্রচেষ্টা চলছিল।
অনেক বছরের চেষ্টার পর ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে রবার্ট ব্যালার্ডের নেতৃত্বে একটি দল সাগরের তলদেশে ধ্বংসাবশেষটি খুঁজে পেতে সক্ষম হয়। ডব্লিউএইচওআইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৮৫ সাল নাগাদ আরগো স্লেজ ক্যামেরাসহ নতুন ইমেজিং প্রযুক্তি তৈরি করে ডব্লিউএইচওআই।
নর নামের একটি গবেষণা জাহাজ থেকে ক্যামেরাটি পরিচালনা করা হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মহাসাগরের ১২ হাজার ৪০০ ফুটের বেশি গভীরে পড়ে থাকা জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের ছবি তোলা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।